আশাশুনিতে শিশু পুত্র ও স্ত্রীকে হত্যার হুমকি, থানা ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ – দৈনিক সাতক্ষীরা সংবাদ

আশাশুনিতে শিশু পুত্র ও স্ত্রীকে হত্যার হুমকি, থানা ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ

লেখক/প্রতিবেদকঃ SatkhiraSangbad
প্রকাশঃ জুলাই ২৭, ২০২৫

আশাশুনি প্রতিনিধি॥ আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় যৌতুকের দাবীতে শিশু পুত্র ও স্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিকার চেয়ে থানা ও সেনা ক্যাস্পে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

আনুলিয়ার উত্তর একসরা গ্রামের নিলুফা ইয়াসমিনের সাথে আনুলিয়া গ্রামের মুজিবর ঢালীর ছেলে হাবিবুর রহমানের ৩০/০৯/২০২২ তারিখে বিয়ে হয়। অসহায় গরীব পিতা বিয়ের সময় প্রায় তিন লক্ষ টাকার জিনিসপত্রসহ জামাইকে স্বর্ণের আংটি ও মোবাইল ফোন দিয়য়েছিল। কিছুদিন যেতে না যেতেই অর্থলোভী হাবিবুর ও তার পিতা মুজিবর ঢালী ও মাতা সাহিদা পারভীন নিলুফার মার কাছে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা নিলুফাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে পুনরায় তারা বউকে বাড়িতে নিয়ে যায়।  এরই মধ্যে নিলুফা গর্ভবতী হয়। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ১৩/১১/২০২৪ তাং তাকে আবারো বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়, এই সুযোগে হাবিবুর এর অর্থ লোভী পিতা ও মাতা মিলে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার পাড় এর মেয়ে সাবিনা খাতুনের সঙ্গে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে দেয়। শুরু হয় সতীন যন্ত্রনা ও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নিলুফা এক পুত্র সন্তানের মা হন। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারী শিশুসহ নিলুফাকে বাড়ি হতে তাড়িয়ে দেয়। স্বামীর ভরণপোষণ না পেয়ে নিলুফা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে। মামলা তুলে নিতে নিলুফার স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, সতীন চাপ দিতে থাকে। মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় শিশুপুত্রসহ তাকে অপহরণ করে জানে মারবে বলে নিলুফার পিতার বাড়িতে গিয়ে হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এমন অভিযোগ এনে আশাশুনি থানা ও সেনা ক্যাম্পে গত ২৬ জুলাই  দুটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা যাচা করতে হাবিবুর রহমানকে ফোন করলে বলেন, ইসলামী শরীয়তে চারটা বিয়ে করা যায়। আমি দুইটা করেছি, আমি দুই স্ত্রী নিয়ে সংসার করতে চাই। আর নিলুফা আমার কোন কথা শোনে না, আমাকে জেল খাটিয়েছে। আমি ও আমার বাবা-মা তাকে কোন হুমকি ও নির্যাতন করি এটা মিথ্যা।