স্টাফ রিপোর্টার॥ আশাশুনিতে ভিজিডি কার্ড তালিকাভুক্তির কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইচ্ছেমত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ও ইউনিয়ন পরিষদকে অন্ধকারে রেখে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্বেচ্ছাচারিতা অবলম্বন করে নতুনদের তালিকাভৃক্ত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার ১১ ইউনিয়নে কমবেশী দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সাংবাদিকদের কাছে এসেছে। আজকে আমরা আশাশুনি সদর ইউনিয়নের তালিকা নিয়ে আলোচনা করবো।
আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন তালিকা থেকে ৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তদস্থলে নতুন ৭ জনের নাম অন্তরভুক্ত করা হয়েছে। নিয়ম হলো ইউনিয়ন পরিষদ ভিজিডি কার্ডের তালিকার জন্য মাইকিং ও অন্য ভাবে প্রচার করার পর অন লাইনে আবেদন গ্রহন করা হবে। পরে আবেদন যাচাই বাছাই শেষে তালিকা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে তালিকা পাঠাতে হবে। কিন্তু এবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন তালিকা নেওয়া হয়নি। তাদের অজ্ঞাতে সালমা খাতুন (গদাইপুর), সুসমা (আশাশুনি), মহাসিনা বেগম সোদকনা, রত্না পারভিন (দুর্গাপুর), অঞ্জলী মন্ডল (বলাবাড়িয়া), মাছুরা খাতুন (কোদন্ডা) ও রোজিনা খাতুন (হাড়িভাঙ্গা) এই ৭ জনকে নতুন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া হয়নি। এমনকি আশাশুনি ইউনিয়নের বাইরে খাজরা ইউনিয়ন থেকে একজনকে এই তালিকায় অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য মহানন্দ মন্ডল জানান, আমাদের কাছ থেকে কোন তালিকা নেয়া হয়নি। নতুন ৭ জনের নাম দিয়েছে যা আমাদের দেওয়া নয়। আমরা সচিবের কাছে তালিকা দিয়েছি, কিন্তু তার কাছ থেকে নাম নেওয়া হয়নি।
ইউপি সচিব প্রভাষ মন্ডল জানান, আমাদের পুরনো তালিকা থেকে ৭ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং উপজেলা থেকে নতুন ৭ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা আমাদের থেকে নেওয়া হয়নি।
প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শরিতুল্লাহ জানান, আমার সাথে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কোন যোগাযোগ করেনি। আমার ওয়ার্ডেও পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু সেটিও আমার অজ্ঞাতে করা হয়েছে। আমরা উক্ত তালিকা বাতিল পূর্বক নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তালিকা করার দাবী জানাচ্ছি।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, সার্ভার নষ্ট ছিল, তাই সবার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তড়িঘড়ি করে কাজ করতে হয়েছে। আর একাজ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব নয়, আমাদের দায়িত্ব। আর যাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তারা ২২-২৩ অর্থ বছরে ছিল।