সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন – দৈনিক সাতক্ষীরা সংবাদ

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ দ্বিতীয় সংশোধনী অনুমোদন

লেখক/প্রতিবেদকঃ SatkhiraSangbad
প্রকাশঃ জুলাই ৩, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট ॥   সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।  বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) উপদেষ্টা পরিষদের ৩২তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।  সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এ কোন কোন বিষয়গুলো সংশোধন করা হচ্ছে সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে তা অধ্যাদেশ আকারে জারির প্রস্তাবে সম্মতি দেয়।  এর প্রতিবাদে গত ২৪ মে থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আন্দোলনের মধ্যেই গত ২৫ মে রাতে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।  সরকারি চাকরি আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে পুরনো আইনের সঙ্গে ‘৩৭ক’ নামে একটি ধারা সংযোজন করা হয়। নতুন এই ধারায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়ী হলে সাত দিন করে নোটিশ দেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রাখার বিধান রাখা হয়েছে।সংশোধিত এই অধ্যাদেশকে ‘কালো আইন’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।অধ্যাদেশে ‘আচরণ বা দণ্ড সংক্রান্ত’ বিশেষ বিধানে যা ছিল-

১. কেউ যদি এমন কাজ করে যা অনানুগত্যের শামিল এবং যা অন্য কর্মচারীদের মাঝে অনানুগত্য সৃষ্টি করতে পারে বা শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে বা অন্যের কর্তব্য পালনে বাধার সৃষ্টি করতে পারে; ২. এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে ছুটি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে, কাউকে কর্মবিরতিতে বাধ্য বা উসকানি দেওয়া, অন্য কর্মচারীকে কাজে বাধা দেওয়া হলে; ৩. কোনো কর্মচারীকে তার কর্মস্থলে আসতে বা কাজ করতে বাধা দেওয়া হলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।

অধ্যাদেশটিতে এসব অপরাধের শাস্তি হিসেবে পদাবনতি বা গ্রেড অবনতি, চাকরি থেকে অপসারণ কিংবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গঠন, সাত দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত জবাব না দিলে আবার সাত দিনের নোটিশ দেওয়ার পর তা বিবেচনা করে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে।অধ্যাদেশটিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর আপিল রাখার সুযোগও রয়েছে। দণ্ডের নোটিশ হাতে পাওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করা যাবে।