শ্যামনগর নওয়াবেকী গনমুখি ফাউন্ডেশন (এনজিএফ)এর মাধ্যমে গাছের চারা বিতরণ – দৈনিক সাতক্ষীরা সংবাদ

শ্যামনগর নওয়াবেকী গনমুখি ফাউন্ডেশন (এনজিএফ)এর মাধ্যমে গাছের চারা বিতরণ

লেখক/প্রতিবেদকঃ SatkhiraSangbad
প্রকাশঃ জুন ২৫, ২০২৫

এস কে সিরাজ, শ্যামনগর থেকে ॥ নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশন (এনজিএফ) ু এর জঐখ প্রকল্পের আওতায় গাছের চারা বিতরণ গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড (এঈঋ) ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ু  এর অর্থায়নে নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশন (এনজিএফ) শ্যামনগর উপজেলার ০৫ টি ইউনিয়নে  শীর্ষক প্রকল্পটি  বাস্তবায়ন করছে। জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং টেকসই জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে, নওয়াবেঁকী গণমূখী ফাউন্ডেশনের জঐখ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পভুক্ত ২১০০ উপকারভোগী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সড়কে ১৪০০০ গাছের চারা বিতরণের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে যার আওতায় গত ইংরেজি ২৫/০৬/২০২৫ তারিখ বুধবার বুড়িগোয়ালিনী ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ১৩৩৫ টি পরিবারের মাঝে ৫ টি (নিম, নারিকেল, কদবেল, সফেদা এবং পেয়ারা) করে মোট ৬৬৭৫ টি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।  চারা বিতরনের সময় এনজিএফ -এর জঐখ প্রকল্পের  প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাব মোঃ মাসুদুল হক এবং প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গাছের চারা প্রদানকালে  চারা রোপনের সঠিক পদ্ধতি এবং রক্ষনাবেক্ষণ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন প্রকল্পের কমিউনিটি মবিলাইজেশন অফিসার (ফরেস্ট্রি) জনাব মোঃ অয়েজ কুরুনি। গাছের চারা বিতরণের গুরুত্ব সম্পর্কে জঐখ প্রকল্পের  প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাব মোঃ মাসুদুল হক বলেন- বিগত কয়েক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে । বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কার্বন সংরক্ষণ এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ভূমিকা রাখবে এবং জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অভিঘাত মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন বৃক্ষ রোপনের পরিবেশগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। গাছপালা বায়ূমন্ডলের কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে যা গ্রীন হ্উাস গ্যাস কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া অক্সিজেন সরবরাহ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছ বছরে ১ টন কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে যা বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে যেমন বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধন হয় তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ঢাল হিসেবে কাজ করে। গাছের শিকড় মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে, যা ভূমি ক্ষয় রোধ করে এবং মাটির উর্বরতা বাড়ায়। গাছপালা বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ও পোকামাকড়ের আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বনজ ও ফলজ গাছ লাগানোর মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য এই উদ্যোগটি কেবল সবুজায়নের একটি পদক্ষেপ নয়, বরং টেকসই উন্নয়নের একটি সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ। এটি শ্যামনগরের উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য একটি নিরাপদ, টেকসই এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে আশা করা যায়।