শ্যামনগর প্রতিনিধি॥ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: শাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, ভ্রমন ভাতায় স্বেচ্ছাচারিতা ও বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া উঠায় অবশেষে বদলী করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের স্বারকনং-৫৯.১১,০০০০,১৫২,৩৪,৮৯১.২৫-২৪৯২ অফিস আদেশে ৩ জুলাই তাকে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে তাকে বদলী করা হয়েছে। তাকে ০৮.০৭.২০২৫ খ্রি. তারিখের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল হতে অবমুক্ত হয়ে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন; অন্যথায় ০৮.০৭.২০২৫ খ্রি. অপরাহ্নে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (ঝঃধহফ জবষবধংবফ) বলে গণ্য হবেন। ইতোমধ্যে তিনি দুর্নীতির অভিযোগে ভিন্ন জেলায় ২ বার শাস্তিমূলক বদলী হয়েছেন। শ্যামনগর উপজেলায় ১০/১২ বছর চাকুরী করার সুবাদে পাহাড় সম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পঃপঃ কর্মকর্তা শাকির হোসেনের ভাষ্য মতে ৮কিঃমিঃ এর মধ্যে কর্মচারীদের টিএ বিল দেয়া হয় না। কিন্তু তিনিই আইন অমান্য করে তার অপকর্মের সহযোগি সুকন্ঠ কুমার মন্ডল কে ভ্রমন ভাতার বিল দেন। তিনি সুকন্ঠ কুমার মন্ডল কে প্রায় ৫ কি.মি এর জন্য পর্যাপ্ত বিল দেন, কিন্তু দায়সারা বিল দেন পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এস, কে, নুরুন্নবী কে ৫২৩৬/-টাকা, এফ ডব্লিউ কে দেন ২১৯০ টাকা, যার দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি:মি:, টিএ বিল প্রস্তুতকারী মুসা হায়দার ১৭ কিঃমিঃ কৈখালীর পরিদর্শক টিএ বিল পান ২১৮০০টাকা, এফ ডব্লিউ মনিরা জামিলা ৪৫০০ টাকা, গাবুরা ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ৩৭কিঃমিঃ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম কে ১২৮৯৫ টাকা, যা যথ সামান্য, এফ ডব্লিউ বিল ১৯৯৪ টাকা প্রদান করা হয়।তাছাড়া ইয়াসমিন আরা এফডব্লিউএ কৈখালীর ৪৩০০ টাকা পক্ষান্তরে উক্ত এলাকার সুষমা রানী ১৬২৪ টাকা টিএ বিল প্রদান করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা মোঃ শাকির হোসেনের অধীনস্থ কর্মচারীদের ইতিপূর্বে তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, টিএ বিল প্রদানে চরম নিয়মনীতি মালা অমান্য করে আর্থিক দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে। টিএ বিল প্রস্তুতকারী মুসা হায়দার টিএ বিলের অফিস আদেশ জানাতে অপারগতা প্রকাশ করানো হয়। পঃপঃ কর্মকর্তা শাকির হোসেনের অপকর্মের সহযোগী মুসা হায়দারের সহযোগিতায় পঃপঃ শাকির হোসেন কে পটুয়াখালী থেকে শ্যামনগরে মালামাল আনায়নের জন্য ৮০ হাজার টাকা আÍসাত্বের অভিযোগ উঠেছে। শাকির হোসেনের অপকর্ম বিভিন্ন দপ্তরে যারা অভিযোগ দায়ের করেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন শাকির হোসেন। প্রধান অভিযোগকারী এস কে নূরুন্নবীকে থামাতে তার স্ত্রী ও শ্বশুর কে নানাবিধ ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে গাবুরা আটুলিয়া ভুরুলিয়া বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন গুলোর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র গুলোর অনুকূলে মেরামত ও সংস্কার বাবদ প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা সহ তার অফিসের ফার্নিচার সরঞ্জামাদী একাধিক বরাদ্দ করিয়ে তার শ্যালক শাহ আলম এবং অন্যান্য ঠিকাদারের মাধ্যমে অনৈতিক লেনদেন করে অর্থ আÍসাৎ করা, নিু মানের সংস্কার কাজ হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেওয়া,বিগত ১০/১১ বছর যাবৎ কর্মচারীদের ভ্রমন ভাতা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আÍসাৎ, আটুলিয়া ইউনিয়নের পঃপঃ পরিদর্শক রক্তিম ইসলামের বেতন ভাতাদী প্রদানে হয়রানী, চিংড়ী চাষের জমি লীজ না পেয়ে ৬০ হাজার টাকা জোর পূর্বক আদায় করা, মেডিকেল অফিসার (এম.ও. এম. সি.এইচ, এফ.পি) অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক কে না জানিয়ে হয়রানী করার হীন মানষে একই দিনে ১০ জন কর্মচারীকে আন্তঃ উপজেলায় বদলী করানো, দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতির ১৪ লক্ষ টাকার ইমপ্লানন মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে বিনষ্ট করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করা সহ অভিযোগ সমূহ তদন্তাধীন রয়েছে। তাকে বদলী করায় তার অধীনস্থ কর্মচারীদের মধ্যে প্রাণ চঞ্চলতা ফিরে এসেছে।