ডেস্ক রিপোর্ট : কাতারের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মেহরান কামরাভা সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, রাতারাতি মার্কিন হামলার পর ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, এই অঞ্চলজুড়ে রয়েছে মার্কিন ঘাঁটি; এখানে ৪০ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা রয়েছে। একবার একজন ইরানি কমান্ডারকে বলতে শুনেছিলাম, ‘এর মানে দাঁড়ায় আমাদের হাতে ৪০০০০টি লক্ষ্যবস্তু রয়েছে’।তাহলে কী ইরানিরা মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিগুলোর দিকে মুখ ফেরাবে? আর যদি ফেরায়, সেটা কি ২০২০ সালে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে করা পাল্টা হামলার মতো ‘পরিমিত’ আকারে হবে— এমন প্রশ্ন তোলেন কামরাভা। তিনি বলেন, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সময়ই দেবে, কিন্তু একটা ব্যাপার নিশ্চিত, ইরানকে প্রতিশোধ নিতেই হবে। রাজনৈতিকভাবে তারা চুপচাপ বসে থাকতে পারবে না, ট্রাম্প যেমনটা চায়। প্রসঙ্গত, রোববার ভোরে ইরানের ফোর্দো, নাতানজ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র বিমান হামলা চালিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার মধ্য দিয়ে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন মাত্রা পেল।