দশম শ্রেণিতে থাকতে অভিনয় শুরু ঋতাভরীর, বিদ্যার দৌড় কতদূর? – দৈনিক সাতক্ষীরা সংবাদ

দশম শ্রেণিতে থাকতে অভিনয় শুরু ঋতাভরীর, বিদ্যার দৌড় কতদূর?

লেখক/প্রতিবেদকঃ SatkhiraSangbad
প্রকাশঃ জুন ২৬, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট ॥ টালিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী স্কুলজীবনেই অভিনয়ে হাতে খড়ি। ক্লাশ টেনের ছাত্রী থাকাকালীন অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। এরপর পড়াশোনা আর অভিনয়ে এগিয়েছেন সমান তালে, তাকে আর পেছন ফিরে থাকাতে হয়নি। একাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন বাংলার দর্শকদের। শুধু এখানেই শেষ নয়, বলিউডেও পা রেখেছেন তিনি। কিন্তু অভিনেত্রী পড়াশোনায় কতদূর এগিয়েছেন, তা হয়তো অনেকেই জানি না।

একটি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঋতাভরী চক্রবর্তীর ৩২তম জন্মদিন। তার এই জন্মদিনে জেনে নেব অভিনেত্রীর পড়াশোনা কতদূর এগিয়েছেন। জানা গেছে, ঋতাভরী চক্রবর্তী ক্লাশ টেন অবধি পড়াশোনা করেন সল্টলেকের হরিয়ানা বিদ্যামন্দির থেকে। দশম শ্রেণির পরীক্ষার পরপরই তার কাছে আসে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’তে নায়িকা ললিতা চরিত্রে কাজ করার প্রস্তাব। তবে লেখাপড়ায় ভীষণ ভালো ছিলেন ঋতাভরী, তাই সিরিয়ালের ১৫-১৬ ঘণ্টা শুটিংয়ের পাশাপাশি পরীক্ষা দেন ক্লাশ টুয়েলভের। সঙ্গে খুব ভালো ফলাফলও করেন তিনি।ঋতাভরীর কাজের অফার আসে আচমকাই। দিদি চিত্রাঙ্গদার তখন ক্লাস টুয়েলভ, রবি ওঝা প্রোডাকশনের ‘বউ কথা কও’-এর জন্য অডিশন দিতে গিয়েছিলেন। দিদিকে আনতে গিয়েছিলেন তিনি, তখন সবে ক্লাশ টেনে উঠেছেন। তাকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় প্রোডাকশন কর্মকর্তাদের। কাজের অফারও দেন তারা। তবে রাজি হননি তার মা শতরূপা। আর পরে যখন ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ শুরু হয়, তখন ললিতা হিসেবে প্রোডাকশন হাউস অন্য কারও কথা ভাবতেও পারেননি। আর সেই সময় ক্লাশ টেনের পরীক্ষা শেষ হওয়ায়, আর না করেননি অভিনেত্রীর মা-ও। প্রায় আড়াই বছর চলেছিল ওগো বধূ সুন্দরী। দর্শকদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ‘ললিতা’। অভিনেত্রীর দ্বিতীয় মেগা ছিল ‘চোখের তারা তুই’। যদিও এটির কাজ মাঝপথেই ছেড়েছিলেন ঋতাভরী। কারণ টানা ডেইলি সোপের শুটিং করে ভীষণ ক্লান্ত হয়েছিলেন। সঙ্গে কলেজে ক্লাশ করতে পারছিলেন না। এ ছাড়া দাদুর হুমকি ছিল— আগে পড়াশোনা শেষ করে তবেই পা রাখা যাবে অভিনয়ে।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ঋতাভরী। সেখান থেকে দুর্দান্ত ফলাফল করে স্নাতক পাশ করেন তিনি। যদিও একেবারে নিজেকে সরিয়ে নেননি অভিনয় থেকে। সিরিয়াল না করলেও টুকটাক থিয়েটার চলতে থাকে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর পাশ করেছেন ঋতাভরী। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গেছে, বাড়ি থেকে কোনো দিন ক্লাশে টপ করা নিয়ে চাপ দেওয়া হতো না তাকে। কিন্তু ঋতাভরী নিজে সবসময় ভাবতেন— তাকে ফার্স্ট বা সেকেন্ড বা থার্ড হতেই হবে। নিজেই নিজের ওপর প্রেসার দিতেন। ভালোবাসতেন লেখাপড়া করতে।২০১৪ সালে চতুষ্কোন দিয়ে সিনেমায় কাজ শুরু ঋতাভরী চক্রবর্তীর। শ্রীমতী ভয়ংকরী, ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মোটি, ফাটাফাটি, বহুরূপীর মতো ধারাবাহিক উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদের। তবে কাজের পাশাপাশি বর্তমানে চর্চায় ঋতাভরীর ব্যক্তিগত জীবনও। কারণ ছাদনাতলায় যাচ্ছেন ‘বং ক্রাশ’। সুমিত অরোরার সঙ্গে বাঁধতে চলেছেন গাঁটছড়া। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই তারা বাগদান সারেন। সে খবর দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছিলেন—আমরা সারাজীবন একে অপরকে বিরক্ত করার এবং ভালোবাসার পরিকল্পনায় রাজি হয়েছি। আমি ও আমার মিস্টার রাইট।বলিউডের একাধিক হিট সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন ঋতাভরীর হবু বর সুমিত অরোরা। খোদ কিং খান শাহরুখের সেই ব্লকবাস্টার ছবি ‘জওয়ান’ থেকে শুরু করে, ‘স্ত্রী’, ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ান’, ‘গিন্নি ওয়েডস সিন্নি’, ‘৮৩’, ‘বেবি জন’, ‘দেবা’, ‘অল ইজ ওয়েল’,’হোয়াইট শার্ট’-এর মতো ছবির সংলাপ লিখেছেন তিনি। ‘পরী’ সিনেমার সেটে আলাপ হয়েছিল ঋতাভরী ও সুমিতের। তারপর ধীরে ধীরে প্রেম। মাঝে যদিও লম্বা সময় ব্রেকআপ। সেই সময় মনের ডাক্তার তথাগতের সঙ্গে ঋতাভরী সম্পর্কে জড়ান। তবে তথাগতর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর আবার ফেরেন পুরোনো প্রেমের কাছেই। আর এখন বিয়ে করার পালা।