Oplus_131072
জি এম ফিরোজ উদ্দিন , মণিরামপুর প্রতিনিধি: যশোরের মনিরামপুরে তীব্র গরমে তালের রস খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন গুরুতর অবস্থায় কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ১৬ কেশবপুর ও অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের সকলের বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে।
তালের রস খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর আসলে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১৬ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, মনোহরপুর ইউনিয়নের খাকুন্দী গ্রামের জালাল সরদারের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার (১৬), মনোহরপুরের মো বাবুল বিশ্বাসের স্ত্রী নূরুন নাহার (৩৮) ও ছেলে বদিরুজ্জামান মুন্না (১৮), ইব্রাহিম আলমের মেয়ে তাহাসিনা জান্নাত তোয়া (৪),খাকুন্দী গ্রামের মারুফ হোসেনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৬) এবং মাসুদ সরদারের ছেলে মাহফুজ হোসেন (৪),জালাল এর ছেলে মো সুমন, মনোহরপুর মো হাদীউজ্জামানের ছেলে মো মহিবুল্লাহ সরদার,মারুফার ছেলে ফাতিন (১৫) সুমন ২১), সুভাষ দাসের ছেলে পরশ দাস (১২) ও আকাশ দাস (১৪), পরম দাস(৭) এবং লক্ষণ দাসের মেয়ে বর্ষা দাস (১২) তার ত্রী জয়ন্তী দাস (৩৫), ছেলে স্বপ্ন দাস( ১৮) একই গ্রামের বাসুদেব দাস এদের মধ্যে প্রথম ছয় জন অভয়নগর, কেশবপুর ও পরের তিনজন অভয়নগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকী রোগীরা স্হানীয় ডাক্তারের চিকিৎসা নিচ্ছে। ইতিমধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার ও মাহফুজ হোসেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতাল ভর্তি রোগীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনিরামপুরের মনোহরপুর বাজার থেকে তালের রস কিনে খান তারা। পরেরদিন শুক্রবার সকাল থেকে তাদের পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর আসে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় শনিবার তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূরুন নাহার বলেন, বাজার থেকে ছেলে তালের রস খাওয়ার পর বাড়িতে বোতলে করে নিয়ে এসেছিল। ওই তালের রস খেয়ে বমি, পাতলা পায়খানাসহ জ্বর শুরু হয়। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে শনিবার হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। এখন কিছুটা ভালোর দিকে গেছে।জয়তী দাস জানান,তালের রস খেয়ে আমাদের পরিবারের সকল সদস্যরা অসুস্থ হয় পড়েছেন। ডা গৌর মল্লিক জানান,তালের রস খাবার পর যাদের সমস্যা হয়েছিল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু হয়নি তারা পরে ভালো চিকিৎসা নিতে সরকারি হাসপাতালে গিছে।ডা সোহান হোসেন বলেন,কয়েকজন কে দেখেছি আর সকলে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তালের রস বিক্রেতা কপালিয়া র নলডাঙ্গা গ্রামের মো খোকন জানান,প্রতিদিনের মত সে দিনও ভালো রস নিয়ে আসছিলাম।কিন্তু কি হলো বোঝা গেল না। মনোহরপুর বাজার কমিটির সভাপতি আলী আহসান বাবলু বলেন, মনোহরপুর বাজার থেকে তালের রস খেয়ে প্রায় ২৬ জনের পেটের অসুখ দেখা দেয়। তাদের অবস্থা এখন মোটামুটি ভাল। মনোহরপুর বাজারের দোকানদাররা রফিকুল,আক্তারুল সহ আরো অনেকেই জানান,তালের রস খেয়ে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহফুজুর রহমান সবুজ বলেন, ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে আমাদের হাসপাতালে মনিরামপুরের মনোহরপুর এলাকার সাত জন ভর্তি হয়েছেন। রোগীরা বলেছেন তারা তালের রস খাওয়ার পর বাড়ির খাবার খেয়েছেন। এরপর পেটের সমস্যা দেখা দিলে তারা হাসপাতালে আসেন। অসুস্থদের মধ্যে তিন জন ভর্তি আছেন। চার জন বাড়ি ফিরেছেন। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ওই রোগীরা এখন আশঙ্কামুক্ত। এদের ভেতর দুই জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছে।