ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট নিয়ে ‘সর্বদলীয় আন্দোলন কমিটি’ গঠন – দৈনিক সাতক্ষীরা সংবাদ

ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট নিয়ে ‘সর্বদলীয় আন্দোলন কমিটি’ গঠন

লেখক/প্রতিবেদকঃ
প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট বহাল রাখার দাবিতে ‘সর্বদলীয় আন্দোলন কমিটি’ গঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ. ক. ম জামাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটিতে অনুষদের আওয়ামী লীগ সমর্থক নীল দল ও বিএনপি সমর্থক সাদা দলসহ শিক্ষক প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে নীল দলের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আহ্বায়ক এবং শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আহ্বায়ক এবং শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ রয়েছেন। সদস্য সচিব হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, সহ-সদস্য সচিব হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দেবাশীষ কুমার কুন্ডুর নাম রয়েছে।

এছাড়া কমিটিতে সাধারণ সদস্য হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সব চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের শিক্ষক প্রতিনিধি, বিভাগীয় শিক্ষক প্রতিনিধি এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ১৬টি বিভাগের সব সেমিস্টারের ছাত্র প্রতিনিধি বা ব্যাচ প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।

এবিষয়ে অধ্যাপক আ. ক. ম জামাল উদ্দিন বলেন, কমিটিটা আজকেই গঠিত হলো। প্রথম দুদিন আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে প্রচারণামূলক কর্মসূচি পালন করব। প্রচারণার অংশ হিসেবে আমরা আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং করছি, অনলাইনে আমাদের দাবির বিষয়ে লেখালেখি ও প্রচারণা চলছে। এবিষয়ে আজকে সাদা দল ফ্যাকাল্টি সভা করছে। আগামীকাল নীল দলের ফ্যাকাল্টি সভা রয়েছে। সেখানে বিস্তর আলোচনা হবে। আলোচনার পর আগামী পরশু আমরা সংবাদ সম্মেলন করব।

তিনি আরো বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ এর অর্ডারে ভর্তি সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বলা আছে, স্ব স্ব বিভাগ তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করবে। সেই আলোকে ২০২০ সালে আমাদের অনুষদের ১৬টি বিভাগ সভা করে ‘ঘ’ ইউনিট বহাল রাখার সুপারিশ উপাচার্য ও ভর্তি কমিটি বরাবর পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অনুষদের এই সুপারিশ সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করে, কাউকে কিছু না জানিয়ে ঘ ইউনিট বাতিল করা হয়েছে। আমরা মনে করি এই সিদ্ধান্ত ১৯৭৩ সালের ভর্তি সংক্রান্ত অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সুতরাং কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত অবৈধ।

কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দিন খান বলেন, আমরা অনানুষ্ঠানিকভাবে আজকে একটা কমিটি গঠন করেছি। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তিতে ক, খ, গ ও চ এই চার ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।’ অর্থাৎ ঘ ইউনিট থাকছে না।