কালিগঞ্জ প্রতিনিধি॥ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে একটি দিনমজুর পরিবারকে উচ্ছেদের চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে। আতঙ্ক ও নানান হুমকীতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে শহিদুল ইসলামের পরিবার। সে উপজেলার রতনপুরের গড়ইমহল গ্রামের
স্থায়ী বাসিন্দা। সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের গোয়ালপোতা গ্রামে পুকুর খননের আড়ালে দিনমজুর শহিদুল ইসলামের পরিবারকে ঘরছাড়া করতে পরিকল্পিতভাবে বসতঘরের একাংশ কেটে পুকুরে ফেলেছে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মান্নান গাজী ও তার ছেলে মাহবুব হোসেন গাজী। এনিয়ে এলাকাজুড়ে ধিক্কার আর নিন্দার ঝড় উঠেছে। বৃহস্পতিবারে সরেজমিনে দেখাগেছে, শহিদুল ইসলামের একমাত্র বসতভিটা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভেকুদিয়ে (খননযন্ত্র) পুকুর খননের নামে একটি পরিবারকে উচ্ছেদের পায়তারা চালানো হচ্ছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শরিফা খাতুন জানান, রাতে দিনে বিকটশব্দে ভেকুদিয়ে বসতঘর লাগোয়া মাটি কেটে পুকুর খনন কাজ চালায়। একপর্যায়ে মাটি সরে গিয়ে ঘরের একাংশ ধসে পড়ে পুকুরের দিকে। আতঙ্ক ও ভয়ে নির্ঘুমন রাত কাটাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে খননকাজ বন্ধের অনুরোধ জানানো হলেও অভিযুক্তরা কর্ণপাত করেননি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শহিদুল ইসলামের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুজা মন্ডল ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।অথচ প্রশাসনেরৃৃ নির্দেশ উপেক্ষা করে অভিযুক্তরা পুনরায় ভেকু এনে খননকাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা পুরো গ্রামের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একে “স্পষ্টভাবে বেআইনি ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করে বলেন, “এ ঘটনায় দ্রুত প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, নইলে সমাজে এই ধরণের অন্যায় আরও বাড়বে।অন্যদিকে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান গাজী ও মাহবুব গাজী দাবি করেছেন, তারা নিজেদের জায়গায় কাজ করছেন। তবে স্থানীয়রা জানান, তারা মালিকানা প্রমাণে কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর জোর দাবি, অবিলম্বে খননকাজ বন্ধসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করা হোক।